শনিবার, ২৫ জুন, ২০১৬

হোয়াট সসের সাথে ভেজিটেবল পাস্তা


উপকরণ
১ কাপ পাস্তা বা ম্যাকারনি (১ কাপ = ২৫০ মিলি)
১ কাপ মাশরুম
১/২ কাপ মটরশুটি
১ টি মাঝারি আলু
১ টি মাঝারি গাজর
১ টি ক্যাপসিকাম
৪/৫ টা বেবি কর্ন
১ টি মাঝারি পেঁয়াজ
২-৩ টি ছোট রসুন
২ কাপ দুধ (১ কাপ = ২৫০ মিলি)
২ ১/২ টেবিল চামচ আটা / ময়দা
১/২ চা চামচ শুকনো ওরেগানো বা পুদিনা
২ থেকে ৩ টেবিল চামচ মাখন থেকে
২ থেকে ৩ টেবিল চামচ পনির (ঐচ্ছিক)
লবণ এবং গোলমরিচ প্রয়োজনমত
প্রণালী :
১. প্রথমে আলু, গাজর, বেবি কর্ন এবং মটরশুটি সামান্য লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এরপর ছুরি দিয়ে আলু, গাজর কিউব করে এবং বেবি কর্ন গোল গোল করে কাটে নিন।
২. অন্য একটি পাত্রে সামান্য লবণ এবং কয়েক ফোটা তেল দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিন। পানি ফুটে আসলে পাস্তা দিন এবং সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন।
৩. পাস্তা সিদ্ধ হলে ছিদ্র যুক্ত ঝুড়িতে ঢেলে পানি ঝড়িয়ে নিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে রাখুন।
৪. একটি প্যানে মাখন গলিয়ে পেঁয়াজ এবং রসুন ভেজে এতে মাশরুম যোগ করুন। মাশরুম থেকে অল্প অল্প করে পানি বের হলে পানি না শুকানো পযন্ত নাড়তে হবে।
৫. তারপর পানি শুকিয়ে মাশরুম ব্রাউন হয়ে এলে তাতে ক্যাপসিকাম দিয়ে ১০-১২ মিনিট নেড়েচেড়ে ময়দা / আটা দিয়ে আরো ৪-৫ মিনিট নেড়ে সিদ্ধ করা সবজি দিয়ে দিতে হবে।
৬. এরপর ১-২ মিনিট নেড়ে তাতে দুধ দিন। এরপর এতে লবন , গোলমরিচ গুঁড়া ও পুদিনা দিয়ে নেড়ে দিন। দুধ ঘন হয়ে আসলে পাস্তা দিয়ে দিন। সমস্ত মিশ্রণটি ভারী হয়ে আসা পর্যন্ত নাড়তে হবে। সর্বশেষ আপনি চাইলে কিছু পনির দিয়ে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে ফেলুন।

চিড়ার ফালুদা:


ইফতারিতে অনেক ভাজাপোড়ার সাথে যে খাবারটি আপনাকে আরাম দিবে তা চিড়ার ফালুদা। ইফতারির শুরুতে বা শেষে একটা ডেজার্ট হিসাবে এর তুলনা নাই। এটি বানানো যেমন সহজ খেতে ততটাই দারুন। চলুন জেনে নেই কিভাবে ঝটপট চিড়ার ফালুদা তৈরি করা যায়।

উপকরণ :
চিড়া ১ মুট
গুঁড়ো দুধ ৩ চা চামচ
পানি ১/২ কাপ
চিনি ২-৩ চামচ
কিশমিশ ১০/১২ টা
লবন ১ চিমটি
আম ১ টা / পাকা কলা ও নারকেল কুড়ানো

প্রণালী :
১. প্রথমে চিড়া ও কিসমিশ ধুয়ে নিতে হবে।
২. একটি কাপে আধা কাপ গরম পানি নিয়ে তাতে তিন চামচ গুঁড়া দুধ , চিনি ও লবন দিন।
৩. আম কিউব করে কেটে নিন।
৪. এখন পরিবেশন পাত্রে চিড়া নিয়ে তাতে ঠান্ডা দুধ ঢেলে দিন। এরপর একে একে আম ও কিসমিশ দিয়ে নেড়েচেড়ে দিন।
বাস হয়ে চিড়ার ফালুদা। বছরের অন্যান সময় যখন আম পাওয়া যায় না আপনি আমের পরিবর্তে পাকা কলা ও কুড়ানো নারকেল ব্যবহার করতে পারেন। এটি একজনের জন্য পরিবেশন যোগ্য।

পারফেক্ট রসগোল্লা রেসিপি :


উপকরণ :

ছানা তৈরির জন্য :
১ লিটার দুধ
২/৩ টেবিল চামচ লেবুর রস / ভিনেগার
১/৪ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার
১/২ টেবিলে চামচ ময়দা
১ চিমটি বেকিং পাউডার


সিরা তৈরির জন্য :
২ ১/২ কাপ চিনি এবং
৩ ১/২ কাপ পানি

প্রণালী :
১. দুধ ৭/৮ মিনিট জ্বাল দেয়ার পর এতে লেবুর রস / ভিনেগার দিতে হবে। কিছুক্ষন পর দুধ জমে ছানা বের হলে তা একটা পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ঢেলে দুধের পানি থেকে ছানা আলাদা করতে হবে। পানি সম্পূর্ণ ভাবে ঝরে গেলে ছানাটা একটা পাতলা কাপড়ের উপর ভালো করে ময়ান করতে হবে। এরপর এতে ১/৪ টেবিল চামচ কর্ন ফ্লাওয়ার এবং ১/২ টেবিলে চামচ ময়দা দিয়ে আবার ময়ান করতে হবে। সবশেষ এতে ১ চিমটি বেকিং পাউডার দিয়ে আবার ময়ান করে সমস্ত ছানা ১০-১২ টি ভাগে ভাগ করে নিন। এবার হাতের তালুতে নিয়ে প্রতি ছানার টুকরাগুলো গোল গোল করে মিষ্টির আকারে গড়ে নিন।
২. একটু পাত্রে ২ ১/২ কাপ চিনি এবং ৩ ১/২ কাপ পানি দিয়ে জ্বাল করে সিরা তৈরি করে নিন। সিরা ফুটে উঠলে তাতে ১/৪ কাপ পানি দিন আবার ফুটতে দিন। এবার একে একে সব মিষ্টি গুলো সিরার উপর ছেড়ে দিন। মিষ্টিগুলো সিরার মধ্যে সিদ্ধ হয়ে ফুলে উঠবে। এখন একটা পাত্রে ১/২ কাপ পানি ও ১ টেবিল চামচ চিনি মিশিয়ে তা সিরার ঢেলে দিন। সিরা ফুটে উঠলে তাতে আবার ১/২ কাপ পানি দিন। ৫ মিনিট জাল দেয়ার পর আবার ১/২ কাপ পানি দিন। আবারো ৫ মিনিট জাল দেয়ার পর আবার ১/২ কাপ পানি দিন।
৩. ফাইনালি মিষ্টি নামানোর আগে আবার একটু পানি দিয়ে নামিয়ে নিন।
 হয়ে গেলো মিষ্টি স্বাদের রসগোল্লা।

শুক্রবার, ২৪ জুন, ২০১৬

চিড়ার পোলাও :


ইফতারিতে একটু ভিন্ন স্বাদের কিছু কার না ভালো লাগে। চলুন আজ একটা রেসিপি দেখে নেই যা আপনি ইফতারিতে ভিন্নতা দেবার পাশাপাশি সময়ও সেভ করবে।

উপকরণ :
চিড়া ১ কাপ
আলু ১ টা স্কোয়ার করে কাটা
ধনিয়া পাতা
পিঁয়াজ কুচি বড় ১টা
মটরশুঁটি ১/২ কাপ
তেল ২ টেবিল চামচ
ভাজা বাদাম ১-২ টেবিল চামচ
লেবুর রস কারি পাতা বা তেজ পাতা
কাঁচামরিচ কুচি ১ ১/২ টা
সরিষা দানা ১/২ চা চামচ
লবন
২ চা চামচ চিনি
১/২ চা চামচ হলুদ
বারবিকিউ চানাচুর
২ টেবিল চামচ দুধ


প্রণালী :
১ প্রথমে চিড়া পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর এতে সামান্য পানি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন, খুব বেশি পানি দিবেন না। চিড়া ফুলে উঠলে এতে হলুদ ,চিনি ও লবন দিয়ে মেখে রাখুন।
২. কড়াইতে তেল দিয়ে এতে সরিষা দানা ,কারি পাতা বা তেজ পাতা ও কাঁচামরিচ কুচি দিন। এরপর এতে লবন ও আলু দিয়ে কিছুক্ষন ভেজে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে নেড়েচেড়ে সামান্য পানি দিন ঢেকে দিন। ৫ মিনিট পর এতে মটরশুটি দিয়ে আবার ডেকে দিন। আলু সিদ্ধ হয়ে এলে এতে ধনিয়া পাতা কুচি ও চিড়া ঢেলে দিন। এরপর কিছুক্ষন নেড়েচেড়ে লেবুর রস দিয়ে দিন। ৩-৪ মিনিট পর নেড়েচেড়ে আবার দুধ দিয়ে ঢেকে দিন। ৫-৭ মিনিট পর পোলাউ হয়ে গেলে পরিবেশন পাত্রে ঢেলে উপরে পিঁয়াজ কুচি, ধনিয়া পাতা, বাদাম ও বারবিকিউ চানাচুর ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
Pic Collected

শাকের ফুলরি / শাকের বড়া


উপকরণ :
শাক ১/২ মুঠা ( ডাটা শাক, কলমী শাক , পালং শাক , লাল শাক )
পিঁয়াজ কুচি ৩-৪টা
কাঁচামরিচ কুচি ৪-৫ টা
আদা ও জিরা বাটা ১/৪ চা চামচ
লবন
১/২ চা চামচ হলুদ
১/৪ চা চামচ গুঁড়ামরিচ
ডিম ১টা
বেসন ১/২-১ কাপ

প্রণালী :
১ প্রথমে শাক পানি দিয়ে ধুয়ে কুচি করে নিন।
২. একটি বাটিতে শাক নিয়ে তাতে একে একে পিঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, আদা ও জিরা বাটা, লবন, হলুদ, গুঁড়ামরিচ দিয়ে মাখে নিন। এরপর এতে ডিম দিয়ে মাখে নিন। এখন এতে অল্প অল্প করে বেসন যোগ করুন। বেসন এমন করে দিবেন যেন পুরো মিশ্রণটা পাতলা ও ছাড়া ছাড়া না হয়। পাতলা হলে আরো একটু বেসন দিন।
৩. এবার কড়াইতে তেল গরম করে শাকের মিশ্রণটি অল্প অল্প করে হাতে নিয়ে ছোট ছোট বড়া আকারে ভেজে তুলুন। ইফতারিতে সসের সাথে পরিবেশন করুন।

শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬

ইফতারিতে স্পাইসি চিকেন রোল:

উপকরণ :

পুর তৈরীর জন্য :
১.  কুচি করে কাটা মুরগির মাংস অথবা মুরগির কিমা ২ কাপ
২.  চিকন করে কুচি করা গাজর ১/২ কাপ, 
৩. বাধাকপি / আলু /মটরশুটি  ১/২ কাপ
৪.  সিদ্ধ নুডলস ১/৪ কাপ
৪.  পেঁয়াজ মিহি কুচি  ৪/৫ টি৫. রসুন কুচি  ৫/৬ কোয়া
৬. হলুদ ১/৪ চা চামচ
৬. কাঁচামরিচ কুচি  ৪/৫ টি
৭.  চামচ সয়া সস ১ টেবিল ( ইচ্ছামত )
৮. তেল ভাজার জন্য

খামির তৈরির জন্য :
৯. ময়দা ৩ কাপ
১০. তেল  ৩ টেবিল চামচ
১১. সামান্য লবণ
১২. পরিমাণমতো কুসুম গরম পানি।

১৩. ডিম ২/৩টা
১৪. ব্রেডক্রাম ১/২ কাপ 

প্রণালি :
১. প্রথমে মাংসের টুকরো বা কিমা সামান্য লবণ ও হলুদ দিয়ে পানিতে সেদ্ধ করে নিন। সিদ্ধ মাংস কাটা চামচ দিয়ে চিড়ে ঝুড়িঝুড়ি করে নিন । এরপর  ফ্রাইং প্যানে সামান্য তেল দিয়ে এতে প্রথমে রসুন এবং পেঁয়াজ বাদামি করে ভেজে নিয়ে পরে একে একে  লবণ, মাংস, গাজর বাধাকপি / আলু /মটরশুটি দিয়ে দিন।
২. এরপর গাজর ও আলু একটু নরম হয়ে আসলে নুডলস , কাচা মরিচ আর সোয়া সস দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে পুর তৈরি করে নিয়ে নামিয়ে রাখুন।
৩. একটি পাত্রে ময়দা, তেল, লবণ ও পানি মিশিয়ে রুটির ডো তৈরি করে নিন এবং ছোটো ছোটো আকারে পাতলা করে রুটি তৈরি করে নিন।
৪. এরপর প্রতিটি রুটিতে পুর দিয়ে ভাঁজ করে রোল তৈরী করে নিন ।
৫. এরপর রোল গুলো প্রথমে ফেটানো ডিমের মধ্যে ডুবিয়ে পরে ব্রেডক্রমে গড়িয়ে ১/২ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। 
৬. এরপর কড়াইতে  তেল গরম করে ডুবো তেলে রোল গুলো লালচে করে ভেজে তুলুন।


ইফতারিতে স্পেশাল টক মিষ্টি স্বাদের দই বড়া :



উপকরণ :
১. মাষকলাইয়ের ডাল ১/২ কাপ
২. জিরা টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ,
৩. ধনিয়া টালা গুঁড়া ১ চা-চামচ,
৪. গোলমরিচ টালা গুঁড়া ১/২ চা-চামচ,
৫. শুকনা মরিচ টালা গুঁড়া ৮ টি
৬. তেল ভাজার  জন্য
৭. টক দই  ৩ কাপ
৮. বিট লবন ১/২ চা চামচ
৯. চিনি স্বাদ মত
১০. লবন স্বাদ মত
১১. পুদিনা পাতা , মিহি কুচি করা ১ চা চামচ
১২. তেতুলের সস ২ চা চামচ

প্রণালী :
১. মাষকলাইয়ের ডাল ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।  এবার ব্লেন্ডার বা শীল পাটার উপর বেটে মিহি পেস্ট তৈরী করুন। ডালের পেস্ট যদি বেশী ঘন হয় তাহলে ২ টেবিল চামচ পানি দিয়ে একটু পাতলা করে নিন।  কিন্তু লক্ষ্য রাখবেন পেস্ট যেন খুব পাতলা না হয়। এবার এতে স্বাদমত লবন দিয়ে ব্লেন্ডার বা কাটা চামচ  দিয়ে ভালো করে মিশেয়ে ফোম তৈরি করে নিতে হবে। 
২. অন্য একটা পাত্রে  ৬ কাপ পানিতে ২ চামচ লবন নিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে। 
৩. কড়াইতে তেল গরম করে অল্প অল্প ডালের পেস্ট দিয়ে বড়ার মত ভেজে নিন। ভাজা বড়া কিছুক্ষণ লবন পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরে হাত দিয়ে চেপে চেপে পানি ঝরিয়ে নিন।
৪. টক দইয়ের সঙ্গে  জিরা গুঁড়া,  ধনিয়া গুঁড়া, গোলমরিচ গুঁড়া, শুকনা মরিচ গুঁড়া, চিনি, লবন  তেতুলের সস মিশিয়ে নিন। এবার পরিবেশন পাত্রে বড়া গুলো রেখে তার উপর দিয়ে দইয়ের মিশ্রণটি ঢেলে দিন। সর্বশেষ উপরে পুদিনা পাতা কুচি ছড়িয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন।
Pic collected

শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬

ফালুদা রেসিপি :

উপকরণ :

দুধ ২ কাপ
পছন্দমত ফুড কালার / রুহ্ আফজা
চিনি ২ টেবিল চামচ
এলাচ ২ টা
নুডলস ১ কাপ সিদ্ধ
তকমা ২ টেবিল চামচ  ( ভিজিয়ে রাখতে হবে )
সাগু দানা ২ টেবিল চামচ (সিদ্ধ করে ছেঁকে নিতে হবে )
কিসমিচ
পেস্তা বাদাম
বিভিন্ন মিষ্টি ফল কিউব করে কাটা  ( আপেল , কলা , আম , পেঁপে , ইস্টবেরি)
আইস ক্রিম ২ স্কুপ
জেলি

প্রণালী : প্রথমে ২ কাপ দুধে ২ টে.চামচ চিনি ও ২ টা  এলাচ দিয়ে জাল করে ১ কাপ করে নিতে হবে।  এরপর এতে রুহ আফজা বা ফুড কালার দিয়ে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে। এখন একটা গ্লাসে সামান্য  রুহ আফজা ঢেলে প্রথমে একপাশে নুডলস অন্য পাশে তকমা দিয়ে তার উপর একে একে  সুগু দানা, ফল , জেলি দিয়ে ঘন দুধ ২ চামচ দিতে হবে। সর্ব শেষ ১ স্কুপ আইস ক্রিম দিয়ে তার উপর কিসমিচ ও বাদাম দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। এটি ২ জনের জন্য পরিবেশন যোগ্য।

ক্যারামেল পুডিং রেসিপি :


উপকরণ:

ক্যারামেল  তৈরীর জন্য :

১/৪ কাপ  চিনি ও
২ টেবিল  চামচ পানি

পুডিং তৈরীর জন্য :

ডিম ৩-৪ টা
দুধ ১ লিটার
দারচিনি ২-৩ টা
এলাচ  ২-৩ টা
চিনি স্বাদ  মত

প্রণালী ;
১. প্রথমে ১ লিটার দুধ মৃদু আচে শুকিয়ে ১/২ লিটার করতে হবে।  এরপর এতে দারচিনি, এলাচ ও  চিনি  দিয়ে আরও একটু সময় জাল করে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। ঠান্ডা হলে দারচিনি, এলাচ তুলে ফেলবেন।
২. এবার অন্য পাত্রে ডিম ফেটে নিতে হবে।  আপনি চাইলে ব্লেডার ব্যবহার করতে পারেন।  এর পর ডিম ও দুধ এক সাথে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। 
৩. এরপর যে পাত্রে পুডিং বসাবেন তাতে ১/৪ কাপ  চিনি ও ২ টেবিল  চামচ পানি দিয়ে মৃদু আচে ক্যারামেল তৈরী করে নিতে হবে।  খেয়াল রাখবেন কেরামেল যেন পুড়ে না যায়, তা না হলে পুডিং তিতা লাগবে।  চিনি গলে ব্রাউন কালারের একটু  হালকা ঘন সিরা হলেই নামিয়ে নিতে পারবেন।
৪. ক্যারামেল  ঠান্ডা  হলে ডিম ও দুধের মিশ্রনটি বাটিতে ঢেলে দিন।
৫. প্রেসার  কুকারে সমান্য  পানি দিয়ে হাড়ি বসানোর স্টিলের রেক বসান।  প্রেসার  কুকারের ঢাকনার সাথে থাকা রবার এর রিং এবং  চাবি টা খুলে নিন। এবার ঢাকনা দিয়ে প্রেসার  কুকারে মুখ  বন্ধ করে শুধু পানিটা গরম করে নিন।  পানি গরম হলে পুডিং এর বাটিটা স্টিল এর রকের উপর বসিয়ে দিন। ( আপনি চাইলে  প্রেসার  কুকারের পরিবর্তে নরমাল সসপানের নিচে  ভারী তাওয়া ব্যবহার করতে পারেন, সেক্ষেত্রে ঢাকনার উপর ভারী কিছু ব্যবহার করবেন যাতে গরম বাতাস বের না হতে পারে।)
৬. মৃদু আচে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর ঢাকনা খুলে একটা চুরি বা কাঠি দিয়ে চেক করতে পারেন পুডিং জমেছে কিনা।  পুডিং হয়ে গেলে কাঠির গায়ে কিছুই লাগবে না।  যদি কাঠি তে মিশ্রণটি লেগে যায় তবে আরো কিছুক্ষণ রাখুন।

৭. পুডিং হয়ে গেলে বাটিটা বের করে চুরি দিয়ে চারপাশটি বাটি  থেকে ছাড়িয়ে নিতে হবে।  এবার একটা সমান প্লেট বাটির উপর উল্টা করে ধরে বাটিটা  উল্টে দিয়ে পুডিং প্লেটে  নিতে হবে।
৮. পুডিং ঠান্ডা হবে ফ্রীজে রেখে দিতে হবে।
ব্যস হয়ে গেল ইফতারির জন্য ঠান্ডা ঠান্ডা ক্যারামেল পুডিং।
Collected Pic

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

মশলা ব্রেড পোলা:

উপকরন:
মুরগীর টুকরা গুলো সিদ্ধ জন্য:
মুরগীর কিমা ২৫০ গ্রাম
হলুদ ১ চিমটি
লবন
কিমা তৈরীর জন্য:
পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ 
আদা বাটা ১ টেবিল চামচ
রসুন ১ টেবিল চামচ
কাঁচা মরিচ ৩ টা (কুচি)
গরম মশলা ১/২ চা চামচ
হলুদ গুড়া ১/৪ চা চামচ
গুড়া মরিচ ১-২ চা চামচ
ধনিয়া পাতা ১ মুঠা
তেজপাতা / কারি লিভ
তেল ৩ টেবিল চামচ
ব্রেড ৬ পিস
ডিম ৪-৬টা
গোল মরিচ গুড়া ১/২ চা চামচ
ঘি ১ টেবিল চামচ
দুধ ( তরল ) ১কাপ
লবন
কিমা তৈরীর প্রণালী:
১. মুরগীর মাংসের টুকরা গুলো এক চিমটি হলুদ ও লবন দিয়ে পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে।
২. সিদ্ধ মাংস কাটা চামচ দিয়ে চিড়ে ঝুড়িঝুড়ি করতে হবে ।
৩. এখন কড়াই এ তেল গরম করে প্রথমে তেজপাতা/ কারি লিভ দিয়ে পরে আদা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, লবন দিয়ে বাদামী করে নিতে হবে।
৪. এরপর গরম মশলা, হলুদ গুড়া, মরিচ গুড়া দিয়ে ভাল করে কসাতে হবে ।
৫. এরপর ঝুড়ি মাংস দিয়ে সামান্য কসিয়ে সবশেষে ধনিয়া পাতা, কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে নামাতে হবে।
মশলা ব্রেড পোলা তৈরীর প্রণালী:
৬. এখন ব্রেডগুলোর চারপাশের ব্রাউন অংশগুলো কেটে নিতে হবে। এবং প্রতি পিস ব্রেডকে আবার চারভাগ করতে হবে।
৭. ব্লেনডার বা বিটার দিয়ে ডিমগুলো ফেটিয়ে নিতে হবে।
৮. একটি বাটিতে গোলমরিচ গুড়ো, ১/২ ভাগ ফেটানো ডিম ও দুধ একসাথে মেশাতে হবে।
৯. ১/২ ভাগ ডিম আলাদা করে রাখতে হবে।
১০. এবার পাউরুটির টুকরাগুলো একে একে ডিমের মিশ্রনটির উপর এমনভাবে বিছাতে হবে যেন প্রতেকটি টুকরায় মিশ্রনটি লাগে।
১১. এরপর একটি ননস্টিক হাড়িতে এক চামচ ঘি গরম করে হাত দিয়ে হাড়িটা ঘুড়িয়ে ঘুড়িযয়ে চারদিকে ছড়িয়ে দিতে হবে।
১২. ফেটানো ডিমের বাকি অংশ ১/২ ভাগ ঢেলে দিয়ে তার উপর পাউরুটির টুকরা গুলো বিছিয়ে দিতে হবে।
১৩. এরপর হাড়িটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৩ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
১৪. এরপর মাংসর কিমা দিয়ে তার উপর আবার ব্রেড ও সবশেষে ১/২ ভাগ ডিম ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকনা দিতে হবে।
১৫..মৃদু আঁচে ১৫ মিনিট রাখার পর অন্য একটি গরম ফ্রাই প্যানে উল্টে দিয়ে আরো ৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।
১৬. এখন একটি সুন্দর ছড়ানো প্লেটে উপুর করে ঢেলে নিবেন।
তৈরী হয়ে গেল সুস্বাদু মশলা ব্রেড পোলা।

চিকেন বাইটস:

উপকরণ:
মুরগীর মাংস (হাড়বিহীন)- ৫০০ গ্রাম
আদা বাটা -১ চা চামচ
রসুন বাটা -১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া - ১/২ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়া ১/২ চা চামচ
সয়াসস - ২ টেবিল চামচ
কর্ণ ফ্লাওয়ার -২ টেবিল চামচ
লাল মরিচ গুঁড়া - ১/২ চা চামচ
ডিম - ১ টা
ব্রেডক্রম-১ কাপ
লবণ - আপনার পছন্দ মত
ভাজার জন্য তেল
প্রণালি:
প্রথমে মুরগীর মাংস পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর মাংসগুলো ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে।
এখন কাটা মাংসর ছোট ছোট টুকরাগুলো তেল এবং ব্রেডক্রম ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে মেখে ২০-২৫ মিনিটের জন্য marinated করে নিতে হবে।
এরপর একে একে মাংসর টুকরাগুলো ব্রেডক্রম এর উপর গড়িয়ে নিয়ে আবার ১৫ মিনিটের জন্য ফ্রিজ এ রাখতে হবে।
এরপর কড়াইতে তেল গরম করে মৃদু আঁচে ডুবো তেলে মাংসর টুকরাগুলো ভেজে নিতে হবে।

বেগুনী রেসিপি:


উপকরন:
বেগুন পাতলা করে কাটা-১২ পিছ, 
ডিম ১ টি (ঐচ্ছিক)
বেসন ২ কাপ
আদা বাটা ১/২ চা চামচ
রসুন বাটা ১/২ চা চামচ, 
জিরা বাটা ১/২ চা চামচ, 
লাল মরিচ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ
বেকিং পাউডার ১ চা চামচ (ঐচ্ছিক)
লবণ 
পানি 
তেল
প্রণালি:
প্রথমে একটি পাত্রে বেসন নিয়ে তাতে একে একে সব মসলা ও বেকিং পাউডার দিতে হবে মেখে নিতে হবে। তারপর উপকরনটি প্রথম ডিম মেখে নিতে হবে, পরে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ঘন লেই তৈরী করে নিতে হবে, পাতলা হলে হবে না।
এখন কড়াই এ তেল গরম করে নিতে হবে। তারপর তেল গরম হলে মৃদু আঁচে পাতলা করে কাটা বেগুন গুলো বেসনে ডুবিয়ে ডুবো তেলে মচমচে করে ভেজে নিতে।
Pic: collected

পিয়াজু রেসিপি

পিয়াজু রেসিপি :
উপকরণ:
পিয়াজ ৪/৫ তা মাজারি সাইজ এর 
ডাল বাটা /বেসন ১ ১/২ কাপ 
কাচা মরিচ ৪/৫ টা বা স্বাদ মত 
আদা বাটা ১/৪ চা চামচ 
রসুন বাটা ১/৪ চা চামচ 
হলুদ ১/২ চা চামচ 
মরিচ গুড়া ১/৪ চা চামচ 
লবন স্বাদ মত 
তেল ডুবো তেলে ভাজার জন্য 
আলু ১টা গ্রেটার দিয়ে কুচি করা 
ধনিয়া পাতা
প্রণালী : তেল ছাড়া সব উপকরণ এক সাথে মেখে নিতে হবে। এবার কড়াইতে তেল গরম করে নিতে হবে। এখন হাতের উপর অল্প অল্প করে ডালের মিশ্রন টি নিয়ে মৃদু আচে বড়া গুলো বেজে নিতে হবে।
Collected pic.

বুধবার, ৮ জুন, ২০১৬

পিজ্জা পাফ রেসিপি:


উপকরন:
খামির তৈরীর জন্য:
ময়দা ২ কাপ
তেল অলিভ ওয়েল / ভেজিটেবল ৫ টেবিল চামচ
লবন ১ চা চামচ
বেকিং পাউডার ২ চা চামচ
১২৫ মি.লি. কাপ ঠান্ডা পানি
পুর তৈরীর জন্য:
পিঁয়াজ মাঝারী ১টা
ক্যাপসিকাম মাঝারী ১ টা
গাজর মাঝারী ২টা
বরবটি ৬/৭টা
মটরশুটি ১/৪ কাপ 
ভূটা ১/৪ কাপ 
পিজ্জা সস ৩ টে চা চামচ
লবন
চিনি ১/২ চা চামচ 
গোল মরিচ ১/২ চা চামচ
শুকনা মরিচ গুড়া ১/৪ চা চামচ
পুদিনা বাটা ১/২ চা চামচ
ভিনেগার ১ টে চামচ
আদা বাটা ২ চা চামচ
টমাটো ক্যাচাপ/ সস ৩ চা চামচ
mozzarella চীজ
প্রণালী:
পুর তৈরীর জন্য:
একটি ননসস্টিক প্যান এ মৃদু আঁচে পিঁয়াজ ভেজে নিতে হবে। এরপর এতে ক্যাপসিকাম দিয়ে আরও ৫ মিনিট নেড়ে এতে একে একে গাজর, মটরশুটি, ভূটা দিয়ে আবার ৫ মি নেড়ে ১/২ কাপ পানি দিতে হবে। এরপর এতে ৩ টে চা পিজ্জা সস, ১ চা চামচ লবন দিয়ে ভাল করে কসাতে হবে। এরপর চিনি, গোল মরিচ গুড়া, শুকনা মরিচ গুড়া, পুদিনা বাটা, ভিনেগার, আদা বাটা ও টমাটো ক্যাচাপ/ সস দিয়ে ভাল করে নেড়ে নামিয়ে ফেলতে হবে। এরপর পুর ভরার উপকরন টি ঠান্ডা করে ফ্রিজ এ ২৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা করে mozzarella চীজ দিয়ে নেড়তে হবে।
খামির তৈরীর জন্য:
প্রথম একটি পাত্রে ময়দা ও বেকিং পাউডার ও লবন মিশিয়ে নিয়ে এতে ঘি/ তেল দিতে হবে। উপকরনগুলো ভাল ভাবে মিশে গেলে অল্প অল্প করে পানি দিয়ে খামির তৈরী করে নিতে হবে।
এবার খামির কয়েক ভাগে ভাগ করে ছোট ছোট রুটি তৈরি করে নিতে হবে।প্রতেকটা রুটি দুই ভাগ করতে হবে। এরপর একটি টুকরা রুটির উপর পুর দিয়ে ওপর টুকরা রুটি দিয়ে চারকোনা ভাল করে আঙ্গুল দিয়ে চেপে চেপে বন্ধ করে দিতে হবে। 
এবার এগুলো ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে। ব্যস তৈরী হয়ে গেল Yummy Yummy পিজ্জা পাফ।
এটি গরম গমর পরিবেশন করতে পারেন সস এর সাথে।

ব্রেড রোল রেসিপি:


উপকরন:
সিদ্ধ আলু ৪টা
রসুন ৬ কোয়া
কাঁচামরিচ ৪/৫টা
ধনিয়া পাতা সামান্য
লেবুর রস ১ টে চামচ
হলুদ গুড়া ১/৩ চা চামচ
গোল মরিচ ১/২ চা চামচ
ব্রেড ৪ পিস
প্রণালী:
প্রথমে ব্লেনডার রসুন ও কাঁচামরিচ দিয়ে chopped করে নিতে হবে, একেবারে পেষ্ট করা যাবে না । এখন কড়াই এ তেল গরম করে রসুন ও কাঁচামরিচ এর chopped দিয়ে নাড়তে হবে। বাদামী হয়ে আসলে এতে হলুদ গুড়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিতে হবে।
এরপর এতে চটকান সিদ্ধ আলু, গোল মরিচ দিয়ে অন্য একটি পাত্রে ভাল করে মেখে নিতে হবে। এরপর এতে ধনিয়া পাতা, লেবুর রস দিয়ে আবার মেখে নিতে হবে।
এখন ব্রেডগুলোর চারপাশের ব্রাউন অংশগুলো কেটে নিতে হবে। এরপর প্রথমে ব্রেডগুলোর একে একে পানিতে হালকা ভিজিয়ে হাত দিয়ে চেপে চেপে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে। এরপর এতে আলুর পুর দিয়ে রোল আকারে গড়ে নিতে হবে।
একটি ননস্টিক প্যানএ মৃদু আঁচে ডুবো তেলে রোলগুলো ভেজে নিতে হবে। এটি সস এর সাথে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন।

রসগোল্লা রেসিপি


উপকরন:

ছানা তৈরীর জন্য:
দুধ ১ লিটার
ভিনেগার/লেবু ২/৩ টে চা.

মিষ্টি তৈরীর জন্য:
ছানা
ময়দা ১ চা চা.
চিনি ১ চা চা.

সিরা তৈরীর জন্য:
পানি ৪ কাপ
চিনি ১ ১/২-২ কাপ
গোলাপ জল ১ টেবিল চামচ

প্রণালী:
প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ফুটিয়ে নিতে হবে। দুধ ফুটতে ফুটতে দুধের উপর তিনটি হোল তৈরি হলে এতে ভিনেগার / লেবু দিয়ে নাড়তে হবে। এতে দুধ ফেটে ছানা তৈরি হলে একটি পরিস্কার পাতলা কাপড় এর উপর ঢেলে ছানা থেকে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।

এরপর ছানাটা পানি দিয়ে ধুয়ে আবার ভাল করে পানি ঝড়িয়ে নিতে হবে।

এখন ছানাটা ভাল ময়ান করে এতে ময়দা ও চিনি দিয়ে আবার ময়ান করে নিতে হবে । এরপর ছানাটা ৮টি অংশে ভাগ করে প্রতেকটা টুকরা হাত দিয়ে মিষ্টি আকারে গড়ে নিতে হবে।

একটি হাড়িতে উল্লেখিত পরিমান পানি ও চিনি দিয়ে চুলার উপর সিরা তৈরী করে নিতে হবে।

এবার মিষ্টিগুলো চিনির সিরার উপর দিয়ে হাড়িটা ঢেকে দিতে হবে। চুলোর উপর মৃদু আঁচে মিষ্টি ফুটতে দিতে হবে। ১৫ মিনিট মধ্যে মিষ্টি ফুলে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।। এরপর এতে গোলাপ জল দিয়ে 
নামিয়ে নিতে হবে।


আমের লাচ্ছি রেসিপি:


এই গরমে ইফতারিতে হয়ে যাক ঠান্ডা ঠান্ডা আমের লাচ্ছি
উপকরণ:
১ ১/২ কাপ কাটা আম 
১ ১/২ কাপ দই 
১/২ কাপ ঠান্ডা দুধ 
চিনি স্বাদ মত 
বরফ কুচি
প্রণালী : সবগুলো উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডার এর দিয়ে ব্লেন্ড করে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশ করুন। এটি দুইজন মানুষের জন্য পরিবেশন যোগ্য। পরিবেশের সময় লাচ্ছিই উপরে দুইটা আমের টুকরা সাজিয়েও পরিবেশন করতে পারেন।

লালমোহন তৈরীর রেসিপি:


উপকরন:

মিষ্টি তৈরীর জন্য:
গুড়ো দুধ ১/২ কাপ
ময়দা /আটা ৩/৪ কাপ
ডিম ১ টা
তেল / ঘি ২ টেবিল চামচ
বেকিং পাউডার ২ চা চামচ
পানি ১ চা চামচ (দরকার হলে )
সিরা তৈরীর জন্য:
চিনি ২ ১/২ কাপ
পানি ২ ১/২ কাপ
প্রণালী:

১. একটি হাড়িতে উল্লেখিত পরিমান পানি ও চিনি দিয়ে চুলার উপর সিরা তৈরী করে নিতে হবে।
এসময় মিশ্রনটি চামচ দিয়ে বারবার নাড়াচাড়া দিতে হবে। চিনি ভাল করে গলে গেলে চুলা বন্ধ করে হাড়িটা ঢেকে রাখতে হবে।।
২. একটি পাত্রে ময়দা, বেকিং পাউডার ও গুড়া দুধ একসাথে চেলে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
৩. অন্য একটি পাত্রে ডিম ও তেল ভাল করে ফেটে নিতে হবে
৪. এবার ফেটান ডিম এর মিশ্রনটি দিয়ে ময়দা দুধ ও বেকিং পাউডার এর মিশ্রনটি একসাথে মেখে ছোট ছোট বল তৈরী করতে হবে।
৫. এরপর কড়াইতে তেল গরম করে মৃদু আঁচে ডুবো তেলে সব বল গুলো ভেজে চিনির সিরার উপর ফেলতে হবে।
৬. এবার সিরা সহ মিষ্টিগুলো চুলোর উপর মৃদু আঁচে সিরা ফুটে উঠার আগ পরযন্ত জ্বাল দিয়ে চুলা বন্ধ করে দিতে হবে।।
৪/৫ ঘন্টার মধ্যে মিষ্টি ফুলে উঠবে।

ব্যস হয়ে গেল সুস্বাদু রসে ভরা লালমোহন মিষ্টি।